মোহাম্মদ রফিকুল ইসলাম, লামা (বান্দরবান) প্রতিনিধি ঃ
লামা উপজেলায় গত মঙ্গলবার আঘাত হেনেছিল ঘূর্ণিঝড় ‘মোরা’। এসময় লামা পৌরসভার ৪৫০টি পরিবার সম্পূর্ণ বিধস্ত, ১ হাজার ৫৫০টি পরিবার আংশিক ক্ষতির শিকার হয়েছিল। এদিকে ঘূর্ণিঝড়ের ৪দিন পেরিয়ে গেলেও সরকারী বেসরকারী কোন সহায়তা পায়নি ক্ষতিগ্রস্থ লোকজন। ফলে খাদ্য অভাব ও পানীয় জলে কষ্ট পাচ্ছে তারা।
ক্ষতিগ্রস্থ মানুষের পক্ষ হয়ে বুধবার দুপুর ১টায় লামা পৌরসভার মেয়র মোঃ জহিরুল ইসলাম স্থানীয় সাংবাদিকদের নিয়ে করা এক সংবাদ সম্মেলন করেন। তিনি বলেন, লামা পৌর এলাকায় সম্পূর্ণ ও আংশিক মিলে ২ হাজার পরিবারের ক্ষতি হয়েছে। এছাড়া প্রচুর গাছপালা ভেঙ্গে পড়েছে। ক্ষতির শিকার হয়নি এমন পরিবার খুঁজে পাওয়া যাবেনা। সব মিলিয়ে শুধু লামা পৌরসভায় ক্ষতির পরিমাণ কয়েক কোটি টাকা।
সরজমিনের ঘুরে দেখা যায়, ঘূর্ণিঝড়ের ৪দিন পেরিয়ে গেলেও এখনও অনেক গৃহহীন মানুষ খোলা আকাশের নিচে বসবাস করছে। সিয়াম সাধনার মাস ও বর্ষাকাল হওয়ায় মানুষের কষ্টের মাত্রা বেড়ে হয়েছে কয়েক গুণ। তাছাড়া দূর্যোগের পর থেকে বিদ্যুৎ না থাকায় ভাপসা গরমে সাধারণ মানুষের স্বাভাবিক জীবন যাত্রা ব্যাহত হচ্ছে। লামা হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডাঃ শফিকুর রহমান মজুমদার বলেন, বিদ্যুৎ ছাড়া হাসপাতাল পরিচালনা অসম্ভব হয়ে পড়েছে। রোগীদের কষ্টের মাত্রা বেড়েছে কয়েক গুণ। বিশেষ করে নিউমোনিয়া আক্রান্ত শিশুরা গ্যাস দিতে না পেরে প্রচুর কষ্ট পাচ্ছে। অপরদিকে কবে নাগাদ বিদ্যুৎ দিতে পারবে তার কোন সুনিদিষ্ট সময় বলতে পারেনি লামা আবাসিক প্রকৌশলী বিদ্যুৎ কর্মকর্তা।
লামা উপজেলা নির্বাহী অফিসার খিন ওয়ান নু বলেন, এখনো ত্রাণ আমাদের কাছে পৌছাঁয়নি। ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ জেলা প্রশাসনকে জানানো হয়েছে। লামা উপজেলা চেয়ারম্যান থোয়াইনু অং চৌধুরী বলেন, দ্রুত সরকারী সাহায্য ক্ষতিগ্রস্থদের কাছে পৌছানো হবে। ক্ষতিগ্রস্থদের নামে তালিকা তৈরি করা হয়েছে।
পাঠকের মতামত: